Business idea

উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় শুরু করুন

উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় শুরু করার পদ্ধতি, এবং ৫০০০ টাকার মধ্যে কি কি উৎপাদানমুখী ব্যবসা করতে পারবেন। এই বিষয় নিয়ে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।

উৎপাদন মুখী ব্যবসা বলতে বুঝানো হয় পণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংযোজন এবং পরবর্তীতে উৎপাদনকৃত পণ্যের সকল কার্যক্রম বুঝানো হয়। পরিশ্রম ও যন্ত্রের মাধ্যমে উৎপাদনশিল্পে কাঁচামালকে প্রক্রিয়াজাত করে পরিণত পণ্যে রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে উৎপাদনমুখী ব্যবসা বলা হয়।

সাধারণত উৎপাদনমুখী ব্যবসার মধ্যে চিনি শিল্প, বস্ত্র শিল্প, পার্ট ও পাটজাত শিল্প, চামড়া শিল্প, সার শিল্প, সিমেন্ট শিল্প, নির্মাণ শিল্প, কাঁচামাল, মৎস্য উৎপাদন, ঘি মাখন ও পনির, দুধ উৎপাদন ইত্যাদি বুঝানো হয়।

বিষয়বস্তুর সহজ সারণী

অল্প মূলধনে উৎপাদনমুখী ব্যবসা

অল্প মূলধনে উৎপাদন মুখী ব্যবসা করা অসম্ভব বলা চলে। কেননা এই ব্যবসায় আপনাকে অনেক ইনভেস্ট করতে হবে, পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংযোজন এর যাবতীয় খরচ বহন করতে হবে।

তবে আপনাদের সুবিধার্থে সবথেকে কম খরচে শুরু করতে পারবেন এমন কয়েকটি উৎপাদনমুখী ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। বর্তমানে গুগলে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় লিখে অনেক বেশি সার্চ করা হয়, তাই আমাদের এই আর্টিকেলের টাইটেলে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় দেয়া আছে।

প্রকৃতপক্ষে আপনি মাত্র ৫ হাজার টাকায় কোনভাবেই একটি উৎপাদানমুখী ব্যবসা সম্পূর্ণ পরিসরে দাঁড় করাতে পারবেন না। চলুন সবথেকে কম খরচে শুরু করতে পারবেন এমন কয়েকটি উৎপাদনমুখী ব্যবসা সম্পর্কে জেনে নেই।

উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া

উৎপাদনমুখী ব্যবসা আইডিয়াগুলো হল: মৎস্য উৎপাদন ব্যবসা, দুধ উৎপাদন ব্যবসা, কাঁচামাল উৎপাদন ব্যবসা, মাটির হাড়ি পাতিল তৈরি ব্যবসা, আচার তৈরি ব্যবসা ইত্যাদি।

এই ব্যবসা গুলো ছোট পরিসরে মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় শুরু করতে পারবেন। এছাড়াও বেশি ইনভেস্ট করে সিরামিক পণ্য উৎপাদন ব্যবসা, চানাচুর তৈরি, কাগজের প্যাকেট তৈরি, বিছানার চাদর বা বালিশের কাভার তৈরি, এনার্জি বাল্ব উৎপাদন, খেলাধুলার সামগ্রী উৎপাদন

গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরি, কার্পেট পাপোশ বা ক্লথ তৈরি, টিস্যু উৎপাদন ব্যবসা, শিশুদের খেলনা উৎপাদন, ঘি মাখন মিষ্টি ও পনির তৈরি, ষ্টেশনারী পণ্য উৎপাদন ব্যবসা, চামড়া জাত পণ্য উৎপাদন, পোশাক তৈরি, বেকারি পণ্য উৎপাদন এই ব্যবসা গুলো করতে পারেন।

গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আর্টিকেলঃ

১.মৎস্য উৎপাদন ব্যবসা

বর্তমানে লাভজনক উৎপাদনমুখী ব্যবসা গুলোর মধ্যে মাছ উৎপাদন ব্যবসা অন্যতম। গ্রামে বসবাস করা উদ্যোক্তাদের জন্য এই ব্যবসাটি অনেক সহজ, এছাড়াও গ্রামের পুকুরে সামান্য খরচে একটি মৎস্য উৎপাদন ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন।

এবং যারা শহরে বসবাস করেন আপনারা চাইলে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মৎস্য উৎপাদন করতে পারেন। তবে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মৎস্য উৎপাদনের জন্য বেশি টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। বর্তমানে শহরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মৎস্য উৎপাদন করা হয়।

বর্তমানে মাছের চাহিদা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে পৌঁছে গিয়েছে। যারা গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন আপনারা পুকুরে কিংবা ডোবায় মাত্র ৫ হাজার টাকা খরচ করে এই উৎপাদনমুখী ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা করার জন্য মাছের খাবার এবং রোগবালাই, পরিচর্যা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

২.কাঁচামাল উৎপাদন ব্যবসা

এই আর্টিকেলের দ্বিতীয় নাম্বারে রাখা হয়েছে বর্তমান সময়ের লাভজনক একটি উপাদানমুখী ব্যবসা কাঁচামাল উৎপাদন। কাঁচামাল বলতে বুঝানো হয় খাবার তরকারি যেমন: আলু, সবজি, মুলা, গাজর, টমেটো, শসা, পিয়াজ, রসুন ইত্যাদি।

৫,০০০ টাকায় প্রথমে ছোট পরিসরে কাঁচামাল উৎপাদন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সামান্য টাকা ইনভেস্ট করে নিজেদের পরিত্যক্ত জমিতে ছোট একটি কাঁচামাল উৎপাদনের জমি প্রস্তুত করতে পারেন। এই ব্যবসা করার জন্য প্রথমে সবজি নির্ধারণ করে, চাষ সম্পর্কে জানতে হবে।

৩.দুধ উৎপাদন ব্যবসা

দুধের চাহিদা কম বেশি সারা বছর থাকে। উৎপাদনমুখী ব্যবসা গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া হল দুধ উৎপাদন। আমাদের দেশে দুধ উৎপাদনের জন্য গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ পালন করা হয়।

তবে এই ব্যবসা করার জন্য যদি আপনার বাজেট ৫০০০ টাকা হয় তাহলে ছোট একটি বাচ্চা ছাগল ক্রয় করে, এটিকে লালন পালন করে বড় করে দুধ উৎপাদন করতে পারবেন। এছাড়াও বড় পরিসরে এই ব্যবসা শুরু করার জন্য মূলধন অনেক বেশি প্রয়োজন হবে।

গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আর্টিকেলঃ

৪.মাটির হাড়ি পাতিল তৈরি ব্যবসা

আপনার মাটির হাড়ি পাতিল তৈরিতে দক্ষতা থাকলে মাত্র ৫ হাজার টাকায় একটি ছোট উৎপাদনমুখী ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার দক্ষতা অনেক বেশি প্রয়োজন হবে। প্রথমে স্বল্প বাজেট দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করে পরবর্তীতে বড় করতে পারবেন।

মাটির হাড়ি পাতিল তৈরি করে বাজারে বিক্রি করার পাশাপাশি মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঘর সাজানোর শোপিস ও বাচ্চাদের খেলনা তৈরি করতে পারেন। বর্তমান বাজারে মাটির জিনিসপত্রের চাহিদা অনেক বেশি। তাই এই আর্টিকেলের মধ্যে মাটির হাড়ি পাতিল তৈরি ব্যবসা রাখা হয়েছে।

৫.আচার তৈরির ব্যবসা

অল্প পুঁজি ইনভেস্ট করে ঘরোয়া ভাবে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের আচারের চাহিদা রয়েছে যেমনঃ চালতার আচার, আমের আচার, আমলকির আচার, বড়ই আচার, তেতুলের আচার, রসুনের আচার, বোম্বাই আচার, খেজুরের আচার, জলপাই আচার, গার্লিক চাটনি ইত্যাদি।

এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ধরনের আচারের প্রচলন রয়েছে। আপনার যদি আচার তৈরিতে দক্ষতা থাকে তাহলে ঘরে বসে অল্প টাকা ইনভেস্ট করে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ইতিমধ্যে অনেকেই আচার তৈরি করে নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করেছে।

৬. মাটির টব ও গার্ডেনিং সামগ্রী বিক্রি

মাটির টব তৈরি ও বিক্রি একটি লাভজনক ক্ষুদ্র ব্যবসা, বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে যেখানে কাঁচামাল সহজলভ্য। অল্প খরচে তৈরি করা যায় এবং বর্তমানে শহরাঞ্চলে ছাদবাগান, বেলকনি বাগানের জন্য টবের চাহিদা অনেক বেশি।

এক্ষেত্রে স্থানীয় কুমোরদের সহায়তা নিয়ে কাজ শুরু করা যেতে পারে। পাশাপাশি গার্ডেনিং এর অন্যান্য সামগ্রী যেমন: গাছের চারা, সার, পানি দেওয়ার বোতল ইত্যাদিও বিক্রি করে আয় বাড়ানো সম্ভব। ৫০০০ টাকার মতো বিনিয়োগে গ্রাম থেকেই এই ব্যবসা শুরু করা যায় এবং স্থানীয় হাটবাজার বা অনলাইনেও সরবরাহ করা সম্ভব। সময়ের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বাড়লে নিজেই টব ডিজাইন করে ব্র্যান্ড তৈরি করা যায়।

৭. হাতের তৈরি সাবান বা ডিটারজেন্ট প্রস্তুত ও বিক্রি

সাবান ও ডিটারজেন্ট ঘরে তৈরি করা এখন অনেক সহজ ও কম খরচে সম্ভব। গ্লিসারিন, কাস্টিক সোডা, পারফিউম এবং অন্যান্য কিছু উপাদান মিশিয়ে ঘরোয়া পরিবেশেই সাবান তৈরি করা যায়।

শহর ও গ্রাম দুই জায়গাতেই এ পণ্যের চাহিদা রয়েছে। শুধু তৈরি করলেই চলবে না, প্যাকেজিং ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০০০ টাকায় সাবান বা তরল ডিটারজেন্ট তৈরি করে স্থানীয় দোকানে বা সামাজিক মাধ্যমে বিক্রি করা সম্ভব। এই ব্যবসায় নারী উদ্যোক্তারা বিশেষভাবে এগিয়ে যেতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারযোগ্য পণ্য হওয়ায় এর বাজার চাহিদা স্থায়ী এবং লাভজনক। ধীরে ধীরে অর্ডার বাড়লে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।

৮. ব্যবহার্য কাগজ (চটিজাতীয় খাতা/লিফলেট) বানানো

পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাগজ দিয়ে খাতা, লিফলেট বা ছোট প্যাড তৈরি একটি সহজ এবং পরিবেশবান্ধব ব্যবসা। পুরাতন কাগজ সংগ্রহ করে তা প্রক্রিয়াজাত করে নতুন কাগজ বা চটিজাতীয় খাতা তৈরি করা যায়, যা স্থানীয় শিক্ষার্থী বা দোকানে বিক্রি করা সম্ভব।

অল্প খরচে এবং সীমিত যন্ত্রপাতি দিয়েই এই ব্যবসা শুরু করা যায়। ৫০০০ টাকার মতো বিনিয়োগে মূল উপকরণ, আঠা, কাটার এবং প্যাকেজিং সামগ্রী কেনা সম্ভব। এছাড়া অনলাইনেও এসব পণ্যের চাহিদা আছে, বিশেষ করে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ হিসেবে। যারা সৃজনশীল এবং ঘরোয়া উদ্যোগ নিতে চান, তাদের জন্য এটি উপযুক্ত একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা।

৯. হাঁস-মুরগির ডিম বিক্রি ব্যবসা (ছোট পরিসরে শুরু)

ডিম বিক্রি একটি লাভজনক ক্ষুদ্র ব্যবসা, যা খুব অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায়। মাত্র কয়েকটি হাঁস বা মুরগি কিনে ঘরে বা উঠানে পালন করে প্রতিদিন ডিম সংগ্রহ করা যায়। ডিমের চাহিদা সারাবছর থাকে, তাই বিক্রির সমস্যা নেই।

প্রতিদিন ৫-১০টি ডিম পাওয়া গেলে স্থানীয় বাজারে বা প্রতিবেশীদের কাছে বিক্রি করে আয় করা যায়। শুরুতে ৫০০০ টাকায় ৫–৭টি মুরগি এবং খাবার কেনা সম্ভব। পরিচর্যার জন্য খুব বেশি সময় প্রয়োজন হয় না, এবং ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানো যায়। এটি গৃহবধূ বা বেকার যুবকদের জন্য একটি চমৎকার পার্ট-টাইম আয় করার উপায়।

১০. লিচু বা আম বিক্রির মৌসুমি দোকান

মৌসুমে লিচু, আম বা অন্যান্য ফল কিনে বিক্রি করা একটি দ্রুত আয়ের ছোট ব্যবসা। এই ধরনের মৌসুমি ব্যবসা সাধারণত ২-৩ মাসের জন্য হয় এবং লাভের সম্ভাবনাও বেশি থাকে।

গ্রামে সরাসরি বাগান থেকে কম দামে ফল কিনে তা শহরের বাজারে বা স্থানীয় হাটে বিক্রি করা যায়। শুরুতে ৫০০০ টাকা বিনিয়োগ করে একটি ছোট দোকান বা অস্থায়ী স্টল বসানো যায়। এর জন্য পাকা ফল চেনা, সংরক্ষণ এবং পরিবহন বিষয়ে কিছু অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। বেশি লাভ করতে চাইলে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ফল সংগ্রহ করলে খরচ কমে যায়।

FAQs

১. ৫০০০ টাকা দিয়ে কোন ব্যবসা শুরু করব?

 ৫০০০ টাকায় হোমমেড খাবার বিক্রি, মোবাইল রিচার্জ, বা হ্যান্ডমেড পণ্য বিক্রি শুরু করা যায়।
Facebook বা WhatsApp দিয়ে গ্রাহক খুঁজে পাওয়া যায় সহজেই।
ছোট পরিসরে শুরু করে ধীরে ধীরে বড় করা যায়।

২. অল্প পুঁজিতে কি কি ব্যবসা করা যায়?

 আচার তৈরি, পুরনো বই বা জামাকাপড় রিসেল, গাছ বিক্রি, কিংবা চটপটি স্টল চালু করা যায়।
এসব ব্যবসা বাড়ি থেকেই বা অল্প জায়গায় করা সম্ভব।
পণ্য তৈরি ও বিক্রিতে কৌশল থাকলে লাভবান হওয়া যায়।

৩. গ্রামে কি ব্যবসা করা যায়?

গ্রামে মাছচাষ, হাঁস-মুরগি পালন, মোবাইল রিচার্জ দোকান, কিংবা ক্ষুদ্র মুদি ব্যবসা করা যায়।
কম খরচে জমি বা জায়গা পাওয়া গেলে কৃষিভিত্তিক ব্যবসা লাভজনক।
গ্রামের মানুষের চাহিদা বুঝে সেবা দিলে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়।

৪. ৫০০ হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়?

৫ লাখ টাকায় মুদি দোকান, অনলাইন শপ, ফার্মিং, ফুড ট্রাক, বা কাপড়ের দোকান শুরু করা সম্ভব।
একটু বড় পরিসরে ব্যবসা চালানো যায় এবং কর্মীও রাখা যায়।
যদি পরিকল্পনা ভালো হয়, তাহলে এ বাজেট দিয়ে স্থায়ী ব্যবসা গড়া যায়।

৫. উৎপাদনমুখী ব্যবসা কি?

উৎপাদন মুখী ব্যবসা বলতে বুঝানো হয় পণ্য উৎপাদন করে যাবতীয় প্রক্রিয়াজাত সম্পন্ন করার পরে বাজারে বিক্রি করা তথা পরিশ্রম কিংবা যন্ত্রাংশের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য প্রক্রিয়াজাত করে আদর্শ পণ্যে রূপ দিয়ে বাজারজাত করা।

Business Of BD

হাই,ব্যবসা নিয়েই আমার পড়াশোনা এবং ব্যবসা নিয়েই আমার ক্যারিয়ার। ব্যবসা নিয়ে লিখতে ভালবাসি, তাই ব্যবসা নিয়েই এই ব্লগটি করা।

Related Articles

Back to top button